ঘর ও বেডরুম সাজানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
ঘর সাজানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুঁজছেন? এই ব্লগে পাবেন ঘর সাজানোর জরুরী জিনিসপত্র যেগুলো আপনার বাসাকে করবে আরও সুন্দর ও আরামদায়ক।

ঘর আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা, যেখানে আমরা স্বস্তি পাই, প্রশান্তি খুঁজি। তাই ঘর সাজানো শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, বরং এটি আমাদের মন-মেজাজ, সৃজনশীলতা এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরির একটি উপায়।
আমরা সারাদিন বাহিরে যতই ব্যস্ত থাকি না কেন দিনশেষে নিজেদের বাড়িতে আবার ফিরে আসতে হয়। আমাদের বাড়ি আমাদের ঘর আমাদের শেষ ঠিকানা। ঘরবাড়ি সাজানো গোছানো থাকলে আমাদের সবারে মন ভালো থাকে এবং যেকোনো কাজ করতে আনন্দ পাই।
আজকাল ঘর সাজানোর অনেক আইডিয়া ও স্টাইল রয়েছে। তবে বাজেট ও জায়গার কথা মাথায় রেখে বুদ্ধিমত্তার সাথে ঘর সাজানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এই ব্লগে আমরা ঘর সাজানোর কিছু জিনিসপত্র (Home Decoration Items) শেয়ার করবো, যেগুলো আপনার আপনার ঘরকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলবে।
ঘর সাজানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
ঘর সাজানোর জন্য কয়েকটি মূল জিনিসপত্র লাগে, যেমন সুন্দর পর্দা, ওয়াল শেলফ, আর্টওয়ার্ক, মিরর, লাইটিং, কার্পেট এবং ইনডোর প্লান্ট। এগুলো ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি আরামদায়ক পরিবেশও তৈরি করে।
নিচে ঘর সাজানোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ও সহজলভ্য কিছু জিনিসপত্র সম্পর্কে লিখলাম। এগুলো থেকে আপনার রুচি ও বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।
১. বেড ও আরামদায়ক ম্যাট্রেস
বেডরুম সাজানোর প্রধান জিনিস হচ্ছে খাট এবং বিছানা। সুন্দর ডিজাইনের একটি খাটের সাথে ভালো মানের ম্যাট্রেস আমাদের ঘুমকে আরামদায়ক করে তোলে।
বিছানার জন্য সুতি বা নরম ফেব্রিকের চাদর ও আরামদায়ক বালিশ বেছে নেওয়া উচিত। তাই বেড ও আরামদায়ক ম্যাট্রেস বেডরুম সাজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. লাইটিং
ঘর সাজানোর আরেকটি জরুরী আইটেম হচ্ছে লাইটিং। বেডরুমের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে আপনার আলো ব্যবস্থার উপর। আপনার বেডরুমে বেড সাইড ল্যাম্প বা ফ্লোর ল্যাম্প রাখতে পারেন যা আপনার রাতে পড়াশোনা বা রিল্যাক্স করার জন্য উপযুক্ত।
বেডরুমে আলো থাকা উচিত নরম ও উজ্জ্বলতার মধ্যে ভারসাম্য রেখে। LED স্ট্রিপ লাইট বা ফেয়ারি লাইট দিয়ে রোমান্টিক ও আরন্দায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন আপনি। সিলিং লাইট, বেডসাইড ল্যাম্প বা ফেয়ারি লাইট বেডরুমের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
৩. পর্দা বা ব্লাইন্ডস
পর্দা ঘর সাজানোর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আইটেম। বেডরুমের সাজে পর্দার ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হালকা রঙের ও সূক্ষ্ম ডিজাইনের সুতির পর্দা ঘরে নরম ও শান্ত পরিবেশ তৈরি করে। আপনি বেডরুমের রোদ ও অতিরিক্ত আলো আটকাতে চাইলে ব্ল্যাক আউট পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি আধুনিক লুক চান, তবে ব্লাইন্ডস ব্যবহার করতে পারেন যা সহজেই আলো নিয়ন্ত্রণ করে । আজকাল বাজারে বিভিন্ন রঙের ভালো মানের পর্দা পাওয়া যায়।
আপনার বেডরুমে ভালো মানের পর্দা ব্যবহার করলে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বাইরের আলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। হালকা রঙের বা ব্ল্যাকআউট পর্দা বেডরুমের জন্য ভালো হতে পারে।
৪. আয়না ও ড্রেসিং টেবিল
ছোট বা মাজারে আকারের আয়না আপনার ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করবে। যদি পর্যাপ্ত জায়গা থাকে, তবে ড্রেসিং টেবিল রাখতে পারেন যেখানে প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা যায়। আপনি যদি আয়নার চারপাশে LED লাইট লাগিয়ে দেন তাহলে আপনার ঘরে সুন্দর গ্ল্যামারাস লুক আসবে।
আয়না ও ড্রেসিং টেবিল আপনার বেডরুমের সৌন্দর্য বাড়াবে। বেডরুমে একটি সুন্দর আয়না বা ড্রেসিং টেবিল রাখা যায়। এটি শুধু প্রয়োজনীয় নয়, ঘরের সৌন্দর্যও বাড়ায়।
৫. ছোট ইনডোর প্ল্যান্ট

ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু আপনার ঘরের শোভাই বাড়ায় না, বরং বাতাস ও বিশুদ্ধ রাখে। বেডরুমে ছোট পাতাবাহার গাছ যেমন মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, স্পাইডার প্ল্যান্ট বা অ্যালোভেরা রাখলে ঘরের সৌন্দর্য বাড়ে ও সতেজ অনুভূতি আসে।
ছোট সিরামিক বা ঝুলন্ত পট ব্যবহার করে গাছগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা যায়। ছোট ইনডোর প্ল্যান্ট আপনার ঘরের বেডরুমের জন্য সুন্দর্য বাড়াবে।
৬. ওয়াল ডেকর ও ফটো ফ্রেম

আপনি ওয়াল আর্ট বা পেইন্টিং লাগিয়ে আপনার ঘরের শৈল্পিক ভাব আনতে পারেন। পার্সোনাল ফটো ফ্রেম বা মেমোরি বোর্ড দিয়ে আপনার প্রিয় মুহূর্তগুলো সংরক্ষণ করতে পারবেন। দেয়ালে কিছু আর্টওয়ার্ক, ফটো ফ্রেম বা পছন্দের ওয়ালপেপার লাগালে ঘর আরও আকর্ষণীয় লাগে।
আপনার ঘরের বেডরুমের জন্য ওয়াল ডেকর ফটো ফ্রেম এ আপনাদের ছবিগুলো রাখলে খুব সুন্দর দেখাবে। তাই বেড রুম সাজানোর জন্য ওয়াল ডেকর ও ফটো ফ্রেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৭. স্মার্ট স্টোরেজ বক্স বা শেলফ
বেডরুমের জিনিসপত্র সুন্দর ভাবে রাখতে হলে স্টোরেজ করা বা গুছিয়ে রাখার ব্যবস্থা ভালো হতে হবে। বই, গয়না, মেকআপ বা অন্যান্য ছোট জিনিস গুছিয়ে রাখতে ছোট স্টোরেজ বক্স বা ওয়াল শেলফ ব্যবহার করা যায়। এগুলো খাটের নিচে বা আলমারির উপর রাখা যায়।
দেয়ালে ঝুলানো শেলফ ব্যবহার করলে জায়গা কম লাগে, আবার প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকে। আপনারা বক্স খাট বা ড্রয়ারযুক্ত বেডসাইড টেবিল ব্যবহার করতে পারেন, যা জায়গা বাঁচাতে সাহায্য করবে। আপনার ঘরের বেডরুম এ স্মার্ট স্টোরেজ বক্স বা শেলফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৮. আরামদায়ক কার্পেট বা রাগ

বিছানার পাশে একটি নরম কার্পেট বা রাগ রাখলে ঘর আরামদায়ক দেখায় এবং শীতকালে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।আপনারা শীতকালের উষ্ণতা বজায় রাখতে ফ্লাফি বা উলের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন।
যদি ঘরটি ছোট হয়, তাহলে হালকা রঙের কার্পেট বেছে নিন, যা আপনার ঘরকে বড় দেখাবে। গোল, আয়তকার বা লম্বা রানার রাগ ঘরের স্টাইল অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। আরামদায়ক কার্পেট বা রাগ আপনার ঘরের বেডরুমের সৌন্দর্য বাড়বে।
৯. আলমারি বা ওয়ারড্রোব
আপনার বেডরুমের জন্য আলমারি বা ওয়ারড্রোব খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। ছোট ঘরের জন্য স্লাইডিং দরজার ওয়ারড্রোব ব্যবহার করুন, যা ঘরকে আরো উজ্জ্বল করে তুলবে। ওয়ারড্রোবের ভেতরে স্টোরেজ ডিভাইডার বা ছোট বক্স ব্যবহার করলে জিনিস গোছানো থাকবে।
পোশাক ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য একটি ভালোমানের আলমারি দরকার। এতে আপনার ঘর পরিপাটি থাকবে।
১০. সুগন্ধি ও এয়ার ফ্রেশনার
একটি সুন্দর ঘরের জন্য শুধু সাজসজ্জা নয়, ভালো-গন্ধ ও জরুরি। আপনারা সুগন্ধি ক্যান্ডেল বা ডিফিজার ব্যবহার করতে পারেন, যা ঘরে মৃদু ও আরামদায়ক সুগন্ধ ছড়াবে। ন্যাচারাল এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে লেমনগ্রাস, ল্যাভেন্ডার বা স্যান্ডালউড ফ্লেভারের স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
ফ্রেশ ও আরামদায়ক পরিবেশের জন্য জানালা খুলে রাখুন এবং মাঝে মাঝে বেডশিট ও পর্দা পরিবর্তন করুন। বেডরুমে হালকা সুগন্ধি মোমবাতি বা এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করলে মন ভালো থাকে এবং ঘর সতেজ অনুভূত হয়।
ঘর সাজানোর জিনিস কোথায় পাওয়া যায়?
ঘর সাজানোর জিনিসপত্র আপনি Online Marketplace Daraz, লোকাল ফার্নিচার শপ, Home Decor Store থেকে কিনতে পারেন। দেশি ই-কমার্স সাইটগুলোর পাশাপাশি AliExpress-এর মতো আন্তর্জাতিক সাইট থেকে বিভিন্ন ইউনিক ডেকর আইটেম কিনতে পারেন।
স্থানীয় হোম ডেকোর শপ: লোকাল হোম ডেকর শপে ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিসের পাশাপাশি হস্তশিল্প কাঠের তৈরি করা আসবাবপত্র পাওয়া যায়। এখান থেকে আপনি সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের আসবাবপত্র ক্রয় করে আপনার ঘর সাজিয়ে রাখতে পারেন। যেখানে হস্তশিল্প ও কাঠের ডেকর আইটেম পাওয়া যায়।
ই কমার্স সাইট: Daraz, AjkerDeal সহ বিভিন্ন ইকমার্স সাইট থেকে ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে পাওয়া যাবে। তাছাড়া Facebook Marketplace থেকে বাহারি ডিজাইনের ঘর সাজানোর সামগ্রী পাওয়া যায়। এগুলোর মাধ্যমে আপনার ঘরের আসবাবপত্র ক্রয় করে ঘর সাজাতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক ই কমার্স সাইটগুলো থেকে ঘর সাজানোর ইউনিক বিভিন্ন আইটেম খুঁজে পেতে পারেন। তবে এসব সাইটে পেমেন্ট করার জন্য USD তে পেমেন্ট সাপোর্ট করবে এমন Mastercard বা Visa কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
ফার্নিচার শপ: ইন্টেরিয়র ফার্নিচারের জন্য রিগ্যাল, ইশো, হাতিল বা নাভানা ফার্নিচার বেশ জনপ্রিয়। এসব জনপ্রিয় ফার্নিচার সপ থেকে অর্ডার দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র ক্রয় করতে পারেন। তাছাড়া ভাল কোন ফার্নিচার মেকার থেকেও নিজের ডিজাইন অনুসারে ফার্নিচার বানিয়ে নিতে পারেন।
হাতের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিস
হাতের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যক্তিত্বও প্রকাশ করে। জুটের দড়ি দিয়ে তৈরি ওয়াল হ্যাঙ্গিং, হাতের কাজ করা কুশন কভার, মাটির পটারি, কিংবা DIY ফটো ফ্রেম—এসব জিনিস ঘরে অন্যরকম একটা উষ্ণতা আনে।
আপনি চাইলে নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে ফেলনা জিনিস দিয়ে ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করেও ঘর সাজাতে পারেন। এখানে ঘর সাজানোর জন্য কিছু DIY আইডিয়া এখানে দেওয়া হল।
কাঁচের বোতল দিয়ে লাইটিং
পুরোনো কাঁচের বোতলে ফেয়ারি লাইট বা রঙিন পানি দিয়ে টেবিল ডেকর তৈরি করা যায়। কাঁচের বোতল দিয়ে লাইটিং করা এসব জিনিস দিয়ে আপনার ঘর সুন্দরভাবে সাজাতে পারবেন।
কাগজের ওয়াল আর্ট
রঙ্গিন কাগজ ও কাপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়াল আর্ট তৈরি করা যায়। এসব কাগজের ওয়াল আর্ট দিয়ে আপনার ঘরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে পারবেন।
বাঁশ ও কাঠের তৈরি শোপিস
পুরনো কাঠের টুকরা বা বাঁশ দিয়ে ইউনিক শোপিস বানানো সম্ভব । এসব অল্প টাকায় বাঁশ ও কাঠের তৈরি শোপিস দিয়ে আপনার ঘরকে রাঙিয়ে তুলতে পারবেন।
শোবার ঘর সাজানোর জিনিস
শোবার ঘর সাজানোর জন্য নরম আরামদায়ক বিছানার চাদর, স্টাইলিশ পর্দা, মোড লাইটিং, আর্টওয়ার্ক, আর ছোট ইনডোর প্লান্ট দারুণ কাজ করে। ওয়াল শেলফ বা ফটো ফ্রেম যোগ করলে ঘরে ব্যক্তিগত ছোঁয়া আসবে। হালকা রঙের আর সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি বা Aroma Diffuser ব্যবহার করলে আরও রিল্যাক্সিং পরিবেশ তৈরি হবে।
যেকোনো ঘরের জন্য সবার ঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি যদি সুন্দর না হয় পুরো ঘরের সৌন্দর্যতা নষ্ট হয়। শোবার ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে আর আরাম ও প্রশান্তি বজায় রাখা জরুরী।
- স্নিগ্ধ রঙের বিছানার চাদর: সাদা, হালকা রঙের বিছানা ঘরকে প্রশান্তিময় গড়ে তোলে। স্নিগ্ধ রঙের বিছানা আপনার ঘরের সুন্দর্যতা ফুটিয়ে তোলে।
- সুগন্ধি মোমবাতি বা এসেনশিয়াল অয়েল: এটি ঘরে আরামদায় পরিবেশ তৈরি করে। সুগন্ধি মোমবাতি বা এসেনশিয়াল অয়েল আপনার ঘরকে আরামদায়ক সুন্দর পরিবেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
- লাইটিং: উজ্জ্বল টিউবলাইটের বদলে উষ্ণ রঙের লাইট বা বেডসাইড ল্যাম্প ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঘরের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পাবে।
- আর্টওয়ার্ক: দেওয়ালে সুন্দর আর্টওয়ার্ক বা পেইন্টিং ঝুলিয়ে শোবার ঘরে নান্দনিকতা যোগ করা যায়। আপনার পছন্দ অনুযায়ী অ্যাবস্ট্রাক্ট, ন্যাচারাল বা মিনিমালিস্টিক ডিজাইনের আর্টওয়ার্ক ঘরের পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
- ইনডোর প্লান্ট: শোবার ঘরের এক কোণে বা উইন্ডো সাইডে ছোট ইনডোর প্লান্ট রাখলে ঘরে সতেজ ও প্রাণবন্ত আবহ তৈরি হয়। অ্যালোভেরা, মানি প্লান্ট বা স্নেক প্লান্টের মতো গাছ বেছে নিলে ঘরের বায়ুকেও পরিশুদ্ধ রাখা যাবে।
শেষ কথা
সাজানো ঘর শুধু দেখতেই সুন্দর লাগে না, বরং এটি আপনার মনের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সঠিক ঘর সাজানোর জিনিস বেছে নিলে ঘর যেমন আরামদায়ক হবে, তেমনি ব্যক্তিত্বের ছাপও ফুটে উঠবে।
আপনার বাজেট, নিজের রুচি ও প্রয়োজন অনুযায়ী ডেকর আইটেম বেছে নিন, আর গড়ে তুলুন স্বপ্নের মতো সুন্দর একটি ঘর!