কিসমিস কিভাবে তৈরি হয়? ঘরেই তৈরি করুন কিসমিস
কিসমিস বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও অনন্য মুখরোচক একটি খাবার। জানুন কিভাবে ঘরে তৈরি করবেন কিসমিস।

শরীর সুস্থ্য রাখতে বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও অনন্য মুখরোচক একটি খাবার হলো কিসমিস। আপনি নিজ বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন কিসমিস। তাই জেনে নিন কিসমিস কিভাবে তৈরি হয় এবং এর পুষ্টিগুন সম্পর্কে বিস্তারিত।
কিসমিস তৈরি করতে কি কি লাগে? কিসমিস কিভাবে হয়, কিসমিসের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সবকিছু নিয়েই আজকের আলোচনা।
কিসমিস তৈরি করতে কি কি লাগে
আপনি জেনে থাকবেন যে, কিসমিস তৈরি হয় আঙ্গুর ফল থেকে। তাই কিসমিস তৈরি করতে-
- ভালো আঙ্গুর ফল
- বিশুদ্ধ পানি
- একটি ঝুড়ি (পানি ঝড়ানোর জন্য)
- একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়
এগুলো থাকলেই আপনি কিসমিস তৈরি করতে পারবেন।
কিসমিস কিভাবে তৈরি করবেন?
নিজেই কিসমিস তৈরি করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন-
- প্রথমে আঙ্গুর ফল গুলো ধুয়ে নিন।
- একটি পাত্রে পানি নিয়ে তা চুলায় ফুটাতে বসান।
- পানি ফুটতে শুরু করলে আঙ্গুরগুলো সেই পানিতে দিয়ে দিন। এবং ফুটিয়ে সিদ্ধ করতে থাকুন।
- আঙ্গুর ফল গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে তা পানি ফোটার সাথে উপরে উঠে আসবে এবং ফেটে যাবে। এরকম হলে বুঝবেন আঙ্গুরগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে।
- এবার আঙ্গুরগুলো চুলা থেকে নামিয়ে ঝুড়ির মাধ্যমে পানি ঝেড়ে ফেলুন।
- একটি বড় পাত্রে একটি পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে পানি ঝড়া আঙ্গুরগুলো ফাকা ফাকা করে শুকাতে দিন।
- ২-৩ দিন ভালো রোদে শুকালে তৈরি হয়ে যাবে আপনার পছন্দের কিসমিস।
এবার, পরিষ্কার মুখ আটকানো পাত্রে কিসমিস গুলো ২ মাস সংরক্ষন করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষন করতে চাইলে ফ্রিজে রাখলে ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
কিসমিসের পুষ্টিগুন
কিসমিসে অনেক বেশি ভিটামিন,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস, খনিজ, আয়রন এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার রয়েছে। এছড়াও এটি খুবই সুস্বাদু, যা খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করতে পারে।
কিসমিসের উপকারিতা
কিসমিস শরীরের সুস্থতার জন্য অনেক উপকারি। এটি খেলে-
- আয়রনের অভাব দূর হয়;
- রক্ত পরিষ্কার থাকে;
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ে;
- অ্যাসিডিটি দূর হয়;
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- এছাড়াও কিসমিস শরীরে শক্তি জোগায়।
FAQ’s
শেষকথা
কিসমিস একটি পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। আপনি জানতে পেরেছেন কিসমিস কিভাবে তৈরি হয়। তাই নিজেই কিসমিস তৈরি করে এর অনন্য স্বাদ গ্রহন করুন।
এই পোস্টের মূল বিষয় ছিলো কিভাবে কিসমিস তৈরি হয়। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কিসমিস কিভাবে তৈরি হয়। পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন, ধন্যবাদ।